আমার মনের স্তরগুলি বুঝতে জীবনের বেশিরভাগটাই কেটে গেছে, সময় না হলে কিছু হবার নয় যে
আমার মন শুধু একটা নয়। একের পর এক মনের অস্তিত্ব জানতে জানতে অবাক হতে হতে এখন আর অবাক হই না। ভাবি এমনটাই তো হয়। হয়ত তোমারও হয়!
জন্ম আমার সুদূর অতীতে, গত শতাব্দির পঞ্চাশ দশকের শুরুর দিকে। আমি তার পরের দিন, মাস, বছরগুলি কাটিয়েছিলাম কতকটা ঘুমন্ত অবস্থায়, মানে আমার আমি যে মন, সেই মনটা। সামনে বাধা এসেছে, খুব ভাবি নি, এগিয়ে চলে গেছি, বাধা রয়ে গেছে পিছনে। কখনও পিছু ফিরে দেখিনি কেমন করে সেই বাধাটা পেরিয়ে এসেছি।
এ মন হল সেই মন যে বাইরের জগতটার সাথে যোগসাজশে থাকে, কথা কয়, হাসে, কাঁদে, রাগ করে। কান দিয়ে শোনে। নাক দিয়ে নিঃশ্বাস আর গন্ধ নেয়, মুখ দিয়ে খাবার খায়, আস্বাদন নেয় আর কথা বলে, সে সব করে আমার আমি যে সেই মন। সবই করে যায় সে অভ্যেসে, বিশেষ কিছু না ভেবে, না বুঝে। কেন, কি করে হয় সেসব সে ভাবে না। তাই এখন তাকে বলি, সে ছিল আমার ঘুমন্ত মন।
সেই আমার আমি মনটা ছিল ঘুমিয়ে, আমি জানি এখন। সে ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই প্রায় যাটটা বছর পার করে দিয়েছিল।
এখন, এত বছর পরে সে মন যখন জাগল, কারণ বিশ্লেষণ করতে শিখল, প্রশ্ন করতে জানল, তার প্রথমেই প্রশ্ন হল, জাগলাম কি করে? নিজে নিজেই? তাহলে এতদিন ঘুমিয়ে কাটালাম কি করে, কেনই বা?
এর উত্তর ছিল একটাই। আমার আরও একজন মন ছিল চুপটি করে প্রথম মনের তলায় বসে যার দায়িত্ব ছিল প্রথম মনের দেখভাল করার, ঘুম পাড়ানোর বা জাগিয়ে দেওয়ার। এই হল আমার দ্বিতীয় মন। এই মনের দায়িত্ব ছিল আমার এই প্রথম মনটাকে জাগানোর, জাগিয়ে রাখার, সমস্ত স্বাদ আর বোধ পরিপূর্ণ ভাবে আত্বস্থ করানোর। কিন্তু সে ছিল চুপ করে বসে, নির্বিকার। আমার বহির্জগতের সাথে যুক্ত এই মনটার দাওিত্ব সে নেয় নি, যদিও সে ছিল।
এই দ্বিতীয় মনের কিন্তু কোন সংযোগ ছিল না বাইরের জগতের সঙ্গে। তাকে কেউ জানতে পারত না, দেখতে পেত না (অনেকটা ওই Personal computer এর Operating System এর মত আর কি)। আমার নিশ্চিত মনে হয়, সমস্ত মানুষেরই এই দ্বিতীয় মনের স্তরটি আছে। কেবল কেউ তার অস্তিত্ব টের পায় না।
আজ আমি জেনেছি পুরোপুরি, এত বছর অভ্যেসে কাটিয়ে দিলেও সবসময়েই মনের আরও একটা স্তর সজাগ থাকত শুধু জ্ঞান আহরণ করে জমিয়ে রাখার জন্য। যে আমি জীবনের পথে হেঁটে চলে গেছি সে আমি জানতেই পারি নি কি করে সারা জীবন ধরে আমার মনেরই আরও একটা অংশ শুধু বোধবিন্দু তৈরি করে গেছে নিঃশব্দে, নিশ্চুপে।
জীবনের বেশির ভাগটাই আমি জানতাম আমি বিশেষ কিছুই জানি না, মানুষের জানা কোন বিষয়েই। তার কারণ হল, স্কুল, কলেজের কোন ক্লাসেই আমি কিছু শুনি নি। বাড়ি ফিরে সব ছেলে মেয়েরা যেমন পড়াশুনো করে সে আমি কোনদিনই করি নি। তাহলে পরীক্ষায় সব সময়েই ভাল ফল হত কি করে? সেও এক রহস্য। আমাদের সেই পুরনো দিনে সব বড় পরীক্ষার আগে কয়েকমাস ছুটি থাকত। সেই সময়ে তপস্বীর মত পড়তাম। বই আছে, সিলেবাস আছে, সমস্যা কোথায়? পরীক্ষার পরই সব পড়াগুলো মাথা থেকে বিলকুল বেরিয়ে মাথাটা আবার যে কে সেই সাফ হয়ে যেত। তাই আমি নিজের সম্বন্ধে ভাবতাম, আমি প্রায় জ্ঞানশুন্য।
আরও পরে যখন আমায় ছেলেদের উঁচু ক্লাসের কঠিন বিষয়গুলো পড়াতে হল, দেখলাম বেশ তো পারছি। তার মানে পুরো জ্ঞানহী্ন আমি নই। কিন্তু সেটাও ছিল না যাকে বলে সম্যক উপলব্ধি আমার মস্তিষ্কের মধ্যেকার আজব জ্ঞান-কারবারের ব্যাপারে। বোধ কি, আর বোধবিন্দু কি তা একেবারেই তখনও বুঝি নি।
পঞ্চাশ পেরিয়ে যখন হঠাৎই দেখলাম আমি অবলীলায় সবাই যে কাজ অসম্ভব ভেবেছিল তা করে ফেলছি একের পর এক, এমন কি সম্পূর্ণ অজানা বিষয়েও, তখন আমি প্রশ্ন করলাম নিজেকে, এটা কি করে হল? এই প্রশ্নের উত্তর খূঁজতে গিয়েই প্রথম নিশ্চিত জানলাম বিন্দু বিন্দু বোধ বা জ্ঞান সঞ্চিত আছে আমার মনে পৃথিবীর প্রায় সব বিষয়েই। সেই বোধগুলি ক্ষুদ্র হলেও ছিল মূল জ্ঞান। তার জোরেই খুব সহজে অজানা জগতেও আমি অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারতাম। আর ঢুকে, কাউকে না কাউকে পেয়েই যেতাম যে ওই বিষয়ে বিস্তারিত জানে। বিস্তারিত জ্ঞানের তাই আমার কখনো দরকার হয় নি। মাথাটা বেশ ফাঁকা রাখার তো বেশ মজা, এখন জানি আমি।
তবু প্রশ্নপ্রবাহ তো থেমে থাকে না। তাই এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হল, এই অদ্ভুত শক্তিশালী মূল জ্ঞান বা বোধবিন্দুগুলো আমার কর্মরত মনের অজান্তে তৈরি হল কি করে? সে তো আমি করি নি।
আমার জাগ্রত মনের যুক্তিমালার খপ্পরের হাত ছাড়িয়ে বেরনো খুব মুশকিল। আর এইভাবে ধরা পড়ল ওই আজব তৃতীয় মনটা আমার। সত্যই আজব। কে কবে শুনেছে বোধবিন্দু তৈরি করা মনের মধ্যে কর্মরত যে মন তার অজান্তেই! তেমন সমস্যা যখন এসে পড়ত, আপনা আপনিই দরকারি বোধবিন্দুগুলো জুড়ে গিয়ে সম্পূর্ণ আর শক্তিশালী বোধের জন্ম হত সামনের বাধা পেরনোর জন্য যেটুকু লাগে। সেই জানলাম আমার তৃতীয় মনের খবর।
সে থাকত চুপ করে বসে দ্বিতীয় মনের স্তরের তলায়, কিন্তু তার সর্বক্ষণ যোগ থাকত প্রথম মনটি যা দেখছে, যা শুনছে, যা পড়ছে, যা করছে সবকিছুর সাথে।
তার কাজ ছিল শুধু এক একটা বোধের বিন্দু তৈরি করা আমার মস্তিষ্কের মধ্যেকার যে Neuron এর জালটি আছে সেই জালে।
আরও বলি, আমি কখন এর কথা টের পেলুম? যখন, দ্বিতীয় মনটা ঠিক করল, আর নয়, অনেক এর ঘুম হয়েছে, একে এবার জাগাই। সময় এসেছে। আর আমার আমি যে, সে জেগে উঠেই টের পেল অনেক কিছু, অবাক হয়ে দেখল, সেই খুব দামি বোধবিন্দুগুলিকে। ভাবতে লাগল, আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম, এই টুকরো টুকরো সারা জীবন জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বোধগুলি এল কোত্থেকে। আর এই জাগন্ত মনের তো কারণ অকারণের বিচারশক্তি এসে গেছে। সেই বিচারে সে অবশেষে বুঝল, ও, তাহলে আমার সবচেয়ে ওপরের মনটি ঘুমিয়ে থাকলেও আর একটি সেয়ানা মন কখনোই ঘুমায় নাই। কি দুর্দান্ত এই তিন নম্বরের মনটা আমার ভাব তো!
আর যখন আমি জেগে গেছি আর বুঝতে পেরেছি এই তিনটে মনের অস্তিত্বের কথা, সেই সময়ে একটা কাণ্ড হতে লাগল। সে এক দারুণ কাণ্ড। ওই যে বোধের বিন্দুগুলি তৈরি হয়ে প্রায় ঘুমিয়েই ছিল আমার সমস্ত মনটার মাঝে, সেগুলি একসঙ্গে জুড়ে জুড়ে বড় বড় বোধসুত্র তৈরি হয়ে যেতে থাকল। সেগুলো হল এক একটা পরিপূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ বোধ। এই সব মিলেজুলে বলতে পার আমার আত্বপলব্ধি হতে লাগল। কি বিরাটই না ব্যাপারটা!
একটা উদাহরণ দিই। সেদিন আমি ঘুম ভেঙ্গে উঠে মন দিয়ে যোগাসন করছি, করতে করতে টুপ করে মনের মধ্যে একটা বোধ জেগে উঠল। সে এক অভূতপূর্ব বোধ, প্রাকৃতিক মৃত্যুর আসল মানে কি সেই বোধ। সে এক আলাদা জগত, আর তার দুয়ার খুলে গেল মনের মধ্যে হঠাৎই। কিন্তু আমার আমি যে মন সে তো খুব সজাগ, সে বিচার করতে বসল, কেন এমন হল, এ কি সত্যই হঠাৎ, নাকি এই বোধের শুরু আগের কোন বোধবিন্দু জুড়ে জুড়ে সম্পূর্ণ এক নতুন বোধে বদলে গেল। মনে করে দেখলাম, যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই।
গত কিছু বছরে আমার একেবারে কাছে দুইটি মৃত্যু দেখেছিলাম। প্রথমজন গেলেন পঁচানব্বই বচ্ছর বয়সে কোন অসুখ, কোন বেদনা কষ্ট ছাড়াই। তিনি অতীতে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন। অবসরের পর তিনি নিজের এক চিন্তাজগত তৈরি করে তার মধ্যেই দিন কাটাতেন প্রায় তপস্বীর মতন। বুঝলাম আমি। আর এই কারণেই তিনি ওই মহার্ঘ প্রাকৃতিক মৃত্যুর আশীর্বাদ ধন্য হয়েছিলেন। ওনার মৃত্যুর সময়ে এসব ভাবি নি। আমার অজান্তেই আমার তৃতীয় মনটি একটি নতুন বোধবিন্দু তৈরি করে রেখে দিয়েছিল।
দ্বিতীয়জন ছিলেন আমাদের পরিবারের কাছের মানবী। তিনি গত হন একশ বছর পূর্ণ হবার দু'মাস আগে। ছিলেন পাতলা ছোটখাট এক মানুষ। যেন ফুঁ দিলে উড়ে যাবেন। সংগসারের মালিন্য, রকমারি ঝকমারি কোনদিন মনে নেন নি। যেন হাঁসের মত। সংসার সায়রে সাঁতার কাটছেন কিন্তু গায়ে জলের ফোঁটাটি লাগছে না। মালা জপতেন, কোথায় কি হচ্ছে না হচ্ছে সব সবিশদ জানতে চাইতেন। খেতেন অল্প একটুখানি। এই ছিল আমার কাছের প্রাকৃতিক মৃত্যুর আশীর্বাদধন্য আর এক মানুষ। এই মৃত্যুও একটি বোধবিন্দু করে আমার মনে ভিতরে সযতনে সংরক্ষিত ছিল। একদিন যখন সময় হল, বোধবিন্দুগুলি জুড়ে গিয়ে এক অপূর্ব নূতন বোধের জন্ম হয়ে গেল এই অতি সাধারণ মস্তিষ্কে।
তারপরে তো কতই এমন প্রাকৃতিক মৃত্যুর কথা জানলাম। বোধ আরও গভীর হল, এই পৃথিবীর প্রায় সব মানুষ না মানলেও এই শেষ সত্য—প্রায় সব মানুষের অসুখে মৃত্যু অস্বাভাবিক, বাকি সব জানা অস্বাভাবিক মৃত্যু অপঘাত, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, খুন, আত্মহত্যা এসবে মৃত্যু বাদ দিয়েও। স্বাভাবিক মৃত্যু খানিকটা সেই নদীর মত, যে কোন বাধা না পেয়েই আঁকাবাঁকা লম্বা পথ পেরিয়ে শান্তিতে সাগরে গিয়ে মেলে কোন ঢেউ না তুলেই।
কিন্তু আমার তখন জাগ্রত মনের তো প্রশ্নের শেষ নাই। সে প্রশ্ন করল, আচ্ছা, বোধবিন্দু জুড়ে জুড়ে সম্পূর্ণ বোধ না হয় হল, কিন্তু সেই মালাটা গাঁথল কে? তবে বিশেষ ভাবতে হয় নি বুঝতে যে, এখন যেহেতু আমার তৃতীয় মন জানে যে আমার আমি মনটা জেগে আছে, সে শুধু বোধবিন্দু তৈরি করে না, সময় হলে সম্পূর্ণ বোধের মালাটিও সেই গাঁথে আমার জন্য। আর উপহার দেয় আমায়।
তুমি হয়ত ভাবছ, আমি প্রলাপ বকছি, মানুষের মন একটাই। না গো না। নিজের মনের মধ্যে ডুব দিয়ে দেখ, দেখবে তারা আছে তোমার অজানিতে।
আর চার নম্বর মন? সে তো তুমি যে অবিশ্বাসী তুমিও জান। মনে নাই, কতবার একটা জটিল সমস্যার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছিলে, আর ভোরবেলা ঘুম ভেঙ্গেই আশ্চর্য হয়ে দেখলে তোমার মনের মধ্যে সেই রাতের সমস্যাটির সরল সমাধান চুপটি করে বসে আছে। এ শুধু তোমার আমার নয়, প্রায় সবারই হয়। প্রশ্ন হল, ঘুমের মধ্যে সমস্যার সমাধানটি করল কে? সেই সময়ে তো তোমার তুমি যে মনটা, সে তো গভীর ঘুমে মগ্ন।
এই হল গিয়ে, চার নম্বর মন, যে কখনো ঘুমায় না, সর্বদাই জেগে থাকে তোমায় সাহায্য করার জন্য। এই মনের কথা বিজ্ঞানীরাও জানেন কিন্তু এর স্বরুপ সম্যক বোঝেন না। আমি এটুকু বুঝেছি এই মনটার ক্ষমতা বিশাল। একে যদি জেনে বুঝে কাজে লাগাতে পার তো অসম্ভবও সম্ভব হবে।
পাঁচ নম্বর মনটির কথা এই সেদিন জানতে পারলাম যখন কোন কারণ ছাড়াই আমি উচ্চৈস্বরে নিজের মনে নিজের সঙ্গে কথা বলা শুরু করলাম। ভেবনা শুধু বাড়িতেই, রাস্তায় চলতে চলতেও। কে কি ভাবল আমার বয়েই গেল। সে এক মহা আনন্দময় সময়। এই বয়সে কেই বা আমার সাথে কথা বলে আর কার সাথেই বা আমি কথা বলি। কিন্তু তাবলে কি আমি এক্কেবারে একলা? ওরে না, না। ওই তখন আমি জানলাম আমার সঙ্গে আরও দুইজনা থাকে। একজন হল আমার আর এক মন, আর অন্যজন? নাহ, তুমি বলতে পারবে না মনে হয়। তিনি হলেন আমার নিজের ঈশ্বর। তাঁর সাথেও তো কত মনের কথাই বলা যায়। আচ্ছা, ঈশ্বরের কথা না হয় ছেড়েই দাও। ও বড় গোলমেলে ব্যাপার, বিশ্বাসটিস্বাসের ব্যাপার। কিন্তু নিজের সাথে কথা বলা? ভাবছ, আমি এই পৃথিবীতে একাই সেই পাগল। না গো না, তলিয়ে দেখলে অবাক হয়ে যাবে জেনে যে স্বয়ং আইন্সটাইনও নিজের সাথে কথা বলতেন। শুধু শুধু? না, শুধু শুধু নয়। এই কম্মের দারুণ সব সুফল আছে। সে এক আলাদা, বড়ই লম্বা এক বিষয়। সে কথা তাই এখন তোলা থাক তাকে।
শুধু এইটা জানলেই হবে যে, নিজের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎ তোমার মনে হবে তুমি অন্য একজনের সাথে কথা বলছ, কারণ, যে কথা তুই ভাব নি, জানতে না সেও সে বলবে তোমায় অবাক করে দিয়ে।
সেইভাবে জানলাম, সে হল আমার পঞ্চম মনটি।
আর ছয় নম্বরে? ছয় নম্বরটি আমার বড় প্রিয় নম্বর। ওখানে আছেন আমার সেই ঈশ্বর যিনি নয়বার আমায় মৃত্যুর মুখ থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন জীবনের দিকে।
সেগুলো অনেক বড় গল্প।
এটুকু জেনো, আমি তুমি যাই কর না কেন অভূতপূর্ব কোন কাজ, সে সবই করান তোমার আমার ঈশ্বর। কিন্তু তোমায় চাইতে হবে, মনপ্রাণ দিয়ে চাইতে হবে, আর চেয়ে বসে থাকলে শুধু হবে না সেই "Waiting for Godo" র মত। তেমনি সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টাটাও তো থাকতে হবে। তাই না?
Psychology, Philosophy এসবের আদ্যশ্রাদ্ধ বেশ হল, বল?